জমজম কূপ সম্মন্ধে কিছুজানা অজানা তথ্য:
১) আল্লাহ তা'লার
অসীম কুদরতে ৪০০০ বছর
পূর্বে সৃষ্টি হয়েছিল। ২)
ভারী মোটরের
সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০
লিটার
পানি উত্তোলন করার পরওপানি ঠিক
সৃষ্টির
সূচনাকালের ন্যায়। ৩) পানির স্বাদ
পরিবর্তন হয়নি,
জন্মায়নি কোন ছত্রাক বা শৈবাল। ৪)
সারাদিন পানি উত্তোলন শেষে, মাত্র
১১
মিনিটেই আবার পূর্ণ হয়ে যায় কূপটি।
৫) এই কূপের পানি কখনও শুকায়নি,
সৃষ্টির পর
থেকে একই রকম আছে এর পানি প্রবাহ,
এমনকি হজ্ব মউসুমে ব্যবহার ক'য়েক গুন
বেড়ে যাওয়া সত্বেও এই পানির স্তর
কখনও
নিচে নামে না। ৬) সৃষ্টির পর
থেকে এর গুনাগুন, স্বাদ ও এর
মধ্যে বিভিন্ন উপাদান একই
পরিমানে আছে। ৮) এই কূপের পানির
মধ্যে ক্যালসিয়াম ও
ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমান
অন্যান্য
পানির থেকে বেশী, এজন্য এই
পানি শুধু
পিপাসা মেটায় তা না, এই
পানি ক্ষুধাও
নিবারণ করে। ৯) এই
পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমান
বেশী থাকার কারনে এতে কোন জীবানু
জন্মায়
না । ১০) এই পানি পান করলে সকল
ক্লান্তি দূর
হয়ে যায়। ►রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
‘জমজমের
পানি যে যেই নিয়তে পান করবে, তার
সেই
নিয়ত পূরণ হবে। যদি তুমি এই
পানি রোগমুক্তির জন্য পান কর,
তাহলে আল্লাহ
তোমাকে আরোগ্য দান করবেন।
যদি তুমি পিপাসা মেটানোর জন্য পান
কর, তাহলে আল্লাহ তোমার পিপাসা দূর
করবেন।
যদি তুমি ক্ষুধা দূর করার
উদ্দেশ্যে তা পান
কর, তাহলে আল্লাহ তোমার ক্ষুধা দূর
করে তৃপ্তি দান করবেন।এটি জিবরাইল
(আ.)-
এর পায়ের গোড়ালির আঘাতে হজরত
ইসমাইল
(আ.)-এর পানীয়
হিসেবে সৃষ্টি হয়েছে।’(ইবনে মাজাহ
ও আল-
আজরাকি) ►জম জমের
পানি দাড়িয়ে এবং তিন
শ্বাসে পান করা সুন্নাহ। পান করার
সময়
নিম্নের দোয়াটি পাঠ করা-
, ﻭَﺍﺳِﻌًﺎ ﻭَﺭِﺯْﻗًﺎ ﻋِﻠْﻤًﺎ ﻧَﺎﻓِﻌًﺎ, ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ
ﺩَﺍﺀٍ. ﻛُﻞِّ ﻣِﻦْ ﻭَﺷِﻔَﺎﺀً
ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ ﻭﻋﺒﺪ ﺍﻟﺪﺍﺭﻗﻄﻨﻰ ﺭﻭﺍﻩ ﺿﻌﻴﻒ/
ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ (ﺣﺪﻳﺚ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﻦْ
ﻭﺍﻟﺤﺎﻛﻢ
ﻣَﻮْﻗُﻮْﻓًﺎ) উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নি আস'আলুকা ইলমান
নাফি'আ, ওয়ারিজকান ওয়াসিয়া,
ওয়াশিফা'আন
মিন কুল্লি দা। অর্থ: হে আল্লাহ,
আমি আপনার নিকট কল্যাণকর
জ্ঞান, প্রশস্থ রিযিক এবং যাবতীয়
রোহ
থেকে আরোগ্য কামনা করিতেছি।
(দারা কুতনী,
আব্দুর রাজ্জাক ও হাকেম, বর্ণনায়
ইবেনে আব্বাস)
No comments
ধন্যবাদ মতামতের জন্য ।
আমাদের সাথেই থাকুন